সুস্থ থাকার সাত কাহনঃ🧘🧎♂️➡️🧘♂️
ধ্যান করেই শরীর-মন সুস্থ করতে চান, অথচ ছটফটে স্বভাব বাধ সাধে! ৭ সহজ পন্থায় রোজের রুটিন সম্ভব।
নিয়মিত ধ্যান করলে শরীর যেমন হালকা হয়, মনও শান্ত হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কী ভাবে এটিকে প্রতি দিনের অভ্যাসে পরিণত করবেন?
চুপ করে বসে থাকাটাই এখন যেন সবচেয়ে কঠিন কাজ! কিন্তু ছোট ছোট সহজ কৌশল জেনে নিলে এ কাজ হাতের মুঠোয় চলে আসতে পারে।
আজকের ব্যস্ত জীবনে ধ্যানের অভ্যাস শুনেই পিছপা হবেন অনেকে। যেন অসাধ্য! কিন্তু কিছু ক্ষণ নীরবে বসা, চোখ বুজে শুধু নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসে মন দেওয়া—এতটুকুর মাধ্যমেই ধ্যানের অনুশীলন করা সম্ভব। তাড়ার জীবনে এই সামান্য অভ্যাসই শরীর ও মনে প্রশান্তি এনে দিতে পারে।
রইল ৭টি পন্থা, যার মাধ্যমে ধীরে ধীরে দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠতে পারে ধ্যান-
১. ছোট ছোট পা ফেলা: শুরুতেই দীর্ঘ সময় বসার দরকার নেই। মাত্র দুই থেকে তিন মিনিট চোখ বুজে বসুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। তাতে সময়ের সঙ্গে ধৈর্য বাড়বে ।
২. নির্দিষ্ট সময় বেছে নেওয়া: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে— দিনে একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন। প্রতি দিন একই সময়ে বসলে শরীর-মন সেটিকে অভ্যাস করে নেবে।
৩. নিজের স্থান তৈরি করা: বাড়ির ভিতর একটা শান্ত জায়গা বেছে নিন— হয়তো জানলার পাশে, হয়তো বিছানার এক কোণে। সেই জায়গাটি শুধু আপনার ধ্যানের জন্যই বরাদ্দ থাকবে।
৪. শ্বাসক্রিয়ায় মন দেওয়া: গভীর ভাবে শ্বাস নিন, ধীরে ধীরে ছাড়ুন। শুধু সেই ছন্দটুকু অনুভব করুন। মন যদি অন্য দিকে ছুটে যায়, আলতো করে আবার শ্বাসের দিকে ফিরিয়ে আনুন।
৫. আনন্দ খুঁজে নেওয়া: ধ্যানকে বাড়তি চাপ হিসেবে নিলে চলবে না। ঘরে হালকা আলো, মৃদু শব্দ বা পছন্দসই পরিবেশ তৈরি করুন। এতে ধ্যানে বসার কাজটি আনন্দদায়ক মনে হবে।
৬. ধৈর্য ধরা: প্রথম প্রথম মন ছটফট করবেই। তবু তাতে নিরুৎসাহ হলে চলবে না। নিয়মিত অনুশীলনেই মন ধীরে ধীরে শান্ত হতে শেখে।
৭. সাফল্য উদ্যাপন করা: একটানা কয়েক দিন করতে পারলে নিজেকে সফল মনে করতে হবে। হয়তো একটি গান শোনা, একটি বই পড়া, কিংবা প্রিয় ফুল কেনার মতো ছোট্ট পুরস্কারও অভ্যাসকে স্থায়ী করতে সাহায্য করে। - 🧘🧎♂️➡️সংগৃহীত

